মূলত একটি সিম কার্ডের মাইক্রো কন্ট্রোলারের থাকা তথ্য অনুরূপ বা নকল করাকে বোঝায়। সিম কার্ড ক্লোনিং এর ফলে সিম কার্ডে থাকা সকল তথ্য নকল সিম কার্ডে চলে আসে, এমনকি সিম কার্ড ক্লোনিং এর ফলে সঠিক সিম কার্ডের রেকর্ড যেমন: কল লিস্ট, ডায়াল কল লিস্ট, মেসেজ লিস্ট, পিন কোড, আইসিসিআইডি নম্বর এবং সিম কার্ডের ব্যালেন্স স্থানান্তর হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে IMSI (International Mobile Subscriber Identifier), Ki এবং ICCID অনুরূপ বা নকল হয়ে যায়। মূলত এটাই সিম কার্ড ক্লোনিং।
সিম কার্ড ক্লোনিং সাধারণত GSM (Global System for Mobile communication) অর্থাৎ গ্রুপ স্পেশাল মোবাইলে হয়ে থাকে। বিশ্বের প্রায় ৮২ভাগ মোবাইল ব্যবহারকারী (প্রায় তিন বিলিয়ন) GSM সিম কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে CDMA (Code Division Multiple Access) সিম কার্ডও ক্লোনিং হয়ে থাকে।
যে সকল পদ্ধতিতে সিম কার্ড ক্লোনিং হয়ে থাকে:
সিম কার্ড ক্লোনিং বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকলেও সাধারণত ২ ভাবে সিম কার্ড ক্লোনিং বেশি পরিচিত।
আমাদের এশিয়া মহাদেশে এই ২ ভাবে সিম কার্ড ক্লোনিং হয়ে থাকে। সিম কার্ড ক্লোনিং এর ২টি পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো, হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং এবং অপরটি হলো আইপি টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং।
হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং:
হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক এর দুইটি অংশ রয়েছে প্রথমটি হলো হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস এবং দ্বিতীয় অংশ হলো সফটওয়্যার।
হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস সিম কার্ড ক্লোনিং এ বিভিন্ন রকমের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস বাজারে খুব একটা পাওয়া যায় না।
এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাধারণ সিম কার্ড রিডার ডিভাইসে অতিরিক্ত কিছু অংশ লাগিয়ে সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস তৈরি করা হয়ে থাকে। এধরনের ডিভাইস সাধারণত ইউএসবি ভিত্তিক হয়ে থাকে।
ভাল এবং উচ্চ মানের সিম কার্ড ক্লোনিং করার জন্য অনেক ক্ষেত্র নিজেরাই সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস তৈরি করে থাকে। এধরনের ডিভাইস সাধারণত ফিমেল ডাটা কমিউনিকেশন পোর্ট ভিত্তিক হয়ে থাকে। একে ওয়াফার কার্ডও বলা হয়।
হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং সফটওয়্যার:
হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং এ বিভিন্ন করমের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইউএসবি ভিত্তিক ডিভাইস এর ক্ষেত্রে এক রকমের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ইউএসবি ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং ক্লোনিং ডিভাইস রিড করে সিম কার্ড ক্লোনিং করে থাকে।
অপর ক্ষেত্রে ওয়াফার ডিভাইস ডাটা কমিউনিকেশন পোর্ট ব্যবহার করে থাকে। কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের মেইল পোর্টের সাথে ওয়াফার ডিভাইস সংযোগ করা হয়ে থাকে। এর পর নিদিষ্ট কিছু সফটওয়্যার ব্যাবহার করে ওয়াফার সিম কার্ড ক্লোনিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আইপি টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং:
আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আইপি টেলিকমিউনিকেশন ব্যবহার করে থাকে। আইপি টেলিকমিউনিকেশন সাধারণত একধরনের ইন্টারকম সিস্টেম এবং সহজে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আইপি টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক সিম কার্ড ক্লোনিং এ আইপি ফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আইপি টেলিকমিউনিকেশন এর অংশ। এক্ষেত্রে এমন একটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে যার ফলে আইপি ফেন রিমোট ভাবে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। বিশেষ সিস্টেম ব্যবহার করে আইপি ফেন সিম কার্ডের ভিসিসি, জিএনডি এবং ভিপিপি অংশ নির্দেশ করে, মূল্যবান ডেটা যেমন, কল লিস্ট, ডায়াল কল লিস্ট, মেসেজ লিস্ট, পিন কোড, আইসিসিআইডি নম্বর এবং সিম কার্ডের ব্যালেন্স একসেক ও ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে।
সিম কার্ড ক্লোনিং এর শিকার হতে সাবধানতা:
- ১. অবশ্যই ব্যক্তিগত সিম কার্ড অপরের সাথে শেয়ার করা যাবে না।
- ২. সিম কার্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে না, যেমন ক্রেডিট কার্ডের নম্বর।
- ৩. ব্যক্তিগত তথ্য সিম কার্ডে সেভ করা যাবে না।
- ৪. সিম কার্ডের ই-ফোনবুকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে না।
- ৫. পারত পক্ষে আইপি ফোন নম্বর যেমন, +৯২, #৯০ এবং #০৯ থেকে ফোন রিসিভ না করাই ভাল।
- ৬. “No Number”, “Unknown” অথবা “Rusticated” এরকম থেকে ফোন আসলে রিসিভ করা যাবে না।
সৌজন্যে: Aluminium Securityবাংলাদেশের প্রথম প্রফেশনাল অনলাইন ভিত্তিক ইথিক্যাল হ্যাকিং ও সিকিউরিটি কোর্স ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।
ধন্যবাদ :)
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDeleteদেখেন http://m.somewhereinblog.net/blog/localhost/29632102
ReplyDelete